আজ আমরা বমি বমি ভাব এবং বমির লক্ষণ সম্পর্কে জানব এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করব,
বমি বমি ভাব এবং বমির কারণ
এটি কোনও বিশেষ রােগ নয়। নানা রােগের এটি একটি লক্ষণ মাত্র, যে যে কারণে এটি হতে পারে তার সীমা অসংখ্য। কয়েকটি প্রধান কারণ সম্পর্কে বলা হচ্ছে—
(1) অতিরিক্ত জ্বর বা নানা জাতীয় জ্বর।
(2) দেহে নানা রােগের বীজাণু, প্রবেশ করলে।
(3) আমাশয় বা উদরাময় রােগ বা অজীর্ণ।
(4) অনিয়মিত বা অতিরিক্ত খাদ্য খাওয়া।
(5) অতিরিক্ত দুর্বলতা বা নানা রােগে ভােগার জন্য দুর্বলতা।
(6) স্নায়ুমণ্ডলের নানা ধরণের রােগ।
(7) মানসিক নানা কারণ—যেমন শােক, দুঃখ, আঘাত, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি।
(8) যকৃত এবং জরায়ুর নানা ধরণের রােগব্যাধি।
(9) শিশুদের ক্রিমি রােগ।
(10) অতিরিক্ত ভ্রমণ বা ট্রেন জার্নি, সমুদ্র ভ্রমণ, বিমানে ভ্রমণ প্রভৃতি।
(I1) গর্ভের প্রথম অবস্থায় এটি স্বাভাবিক। তবে তাতে আশঙ্কা নেই। পরবতী অবস্থায় তা অশুভ।
(12) হিষ্টিরিয়া রােগ, মৃগীরােগ প্রভৃতিতে।
আপনি পড়তেও পছন্দ করতে পারেন: অ্যাসিডিটির লক্ষণ এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার
বমি বমি ভাব এবং বমির লক্ষণ
(1) প্রথমতঃ পেট গুলােতে থাকে—পরে নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়।
(2) পেটে ব্যথা থাকে মাঝে মাঝে।
(3) অজীর্ণ হলে বমি হয়ে নানা খাদ্য বেরিয়ে আসে। তা না হলে শেষে জল বের হয়।
কখনাে বা বমির সঙ্গে পিত্ত বের হয়। তা অতি অশুভ লক্ষণ। একে বলে পিত্তবমি। বেশি জ্বর, ম্যালেরিয়া, লিভারের রােগ প্রভৃতিতে পিত্তবমি হয়। বমির। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত উঠলে অতি কুলক্ষণ।
আপনি পড়তেও পছন্দ করতে পারেন: শূলব্যথা ও পেটে ব্যথা। (Colic pain or Pain in the Abdomen).
বমি বমি ভাব এবং বমির চিকিৎসা
রাত্রি জাগরণ, মাদক দ্রব্য খাওয়া প্রভৃতি কারণে বমি বা বমিভাব হলে
নাক্স ভমিকা ৩, ৬।
| মস্তিষ্কে আঘাত লাগার জন্য বমি-আর্নিকা ৩।
রক্ত বা শ্লেষ্মামিশ্রিত বমি, সব সময় বমি ভাব অথবা কষ্টকর বমিতে, ইপিকাক ৩।
জল খেয়ে বমি বা বমির ইচ্ছা প্রভৃতিতে রােবিনিয়া ৬।
ভেদ বমি বা পিত্ত বা, দুর্বল লাগে শরীর, পাকস্থলীতে এবং পেটে উত্তাপ,জ্বালা ও বেদনা প্রভৃতির লক্ষণে, আসেনিক ৬।
যানবাহনে ভ্রমণের জন্য বমি, ককিউলাস ৬।
তিতো বা অম্ন বমি উদগার, পেট গরম, বমি বমি ভাব, তার জন্যে খেতে ইচ্ছা করে না। , ঘুরে বেড়ালে বা গাড়ী করে বেড়ালে বমিভাব হলে নাইট্রিক অ্যাসিড ৩০।
খাওয়ার তিন-চার ঘণ্টা পরে বমি হলে ক্রিয়ােজোট ৬।
খাওয়ার পরে যন্ত্রণাদায়ক। বমি হলে বিস্মাথ ৩।
মলিন, সাদা, হলদে লেপযুক্ত জিহা, বমির ইচ্ছা প্রভৃতি লক্ষণে, অ্যান্টিম ক্রুড ৬।
প্রচুর পরিমাণে অম্ল, পিত্ত বমিতে, আইরিস ৬।
পুরাতন রােগে প্রথমে সালফার ৩০,
পরে ক্যালকে কার্ব ৩০ হিতকারী। সাধারণ ঔষধগুলি এখানে দেওয়া হলাে। এছাড়া বিভিন্ন অবস্থায় লক্ষণ দেখে অন্যান্য ঔষধ দেওয়া চলে।
আপনি পড়তেও পছন্দ করতে পারেন: অটোইমিউন রোগের কোন নিরাময় নেই, তবে সেগুলি পরিচালনাযোগ্য
বমি বমি ভাব এবং বমির আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা
(1) কোন বিষাক্ত খাদ্য বা কোনও বিষ পেটে গিয়ে বমি হলে তা বের করে ফেলতে হবে। তার জন্য জল খাইয়ে বমি করানাে কর্তব্য।
(2) কচি ডাবের জল উপকারী।
(3) মুড়ি ভেজানাে জল, কমলালেবুর রস, প্রভৃতি খেলে বমি কমে যায়। মেথি ভেজানাে জল খেলেও অনেকটা সফল হয়। বরফ চোষা খুব উপকারী।
(4) বরফ অবস্থায় খেতে দিতে নেই। সম্পূর্ণ বন্ধ হলেও খিদে পেলে ধীরে ধীরে। হালকা খাদ্য খেতে দিতে হবে। বমি চলাকালে তরল হালকা খাদ্য বরফ দিয়ে দেওয়া উচিত।
দাবিত্যাগ:-
এই নিবন্ধটি কঠোরভাবে শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং এটি একটি রোগ নির্ণয়, চিকিত্সা বা পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সার বিকল্প হিসাবে নয়। আমাদের বিষয়বস্তু বা এর সাথে সম্পর্কিত কিছু ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট কোন ক্ষতি, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, অসুস্থতা এবং স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য এই ব্লগটি কোন দায়বদ্ধতা নেয় না।
অনলাইন ক্রয়ের জন্য: